শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পাঞ্জেরী-আনন্দ আলো শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেলেন ইমদাদুল হক মিলন

গল্প ও উপন্যাস শাখায় ‘পাঞ্জেরী-আনন্দ আলো শিশুসাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। -- চিত্রজগত.কম

গল্প ও উপন্যাস শাখায় ‘পাঞ্জেরী-আনন্দ আলো শিশুসাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। ‘বাবান ও টুনটুনি পাখি’ বইটির জন্য তিনি এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত চ্যানেল আই ভবনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ছড়া ও কবিতা শাখায় পুরস্কার পেয়েছেন মাহফুজ রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ শাখার পুরস্কার পেয়েছেন সুরমা জাহিদ ও ইমরান পরশ।

বই অলংকরণ শাখায় পুরস্কার পেয়েছেন আফজাল হোসেন এবং শ্রেষ্ঠ শিশুতোষ প্রকাশনা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে কথা প্রকাশ।
‘পাঞ্জেরী-আনন্দ আলো শিশুসাহিত্য পুরস্কার-২০২১’-এর পাশাপাশি ‘পাঞ্জেরী ছোট কাকু সাহিত্য পুরস্কার ২০২১’ পদকও প্রদান করা হয়। এতে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণায় হাবিবুর রহমান, শিশুসাহিত্যে আমীরুল ইসলাম, ছড়া ও কবিতায় মারুফুল ইসলাম, নাটকে রতন সিদ্দিকী এবং ছোটগল্পে সঙ্গীতা ঈমাম পুরস্কার পেয়েছেন।

পুরস্কারের অনুভূতি প্রকাশের সময় ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘চ্যানেল আইয়ের সাথে আমার সম্পর্ক একেবারে জন্মলগ্ন থেকে। এই প্রতিষ্ঠানের সাথে আমি নানা রকমভাবে জড়িয়ে আছি। একেবারে রক্তের সম্পর্ক বলতে যা বোঝায় সম্পর্কটা সেই পর্যায়ের। পাশাপাশি এখানে মঞ্চে ও সামনে যারা আছেন প্রত্যেকেই আমার খুব প্রিয় মানুষ। আমি তাদের থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি তা পাশ কাটানো সম্ভব না। আজকের এই অনুষ্ঠানটি আমার মনে হচ্ছে আমার পরিবারের অনুষ্ঠান। আমি একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে আছি। আজকের অনুষ্ঠানে আমি খুব আপ্লুত। পাশাপাশি এই পুরস্কার যতবারই পাই ততবারই আনন্দটা হবে এবং এ আনন্দ প্রকাশের জন্য আগামী বছর না হোক তার পরের বছর যেন আসতে পারি এটাই প্রত্যাশা করি।’

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, ‘এখানে যারা আজকে পুরস্কার পাচ্ছেন তারা কিন্তু স্ব স্ব ক্ষেত্রে বহুদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত লেখক। তাদের মধ্যে কেউ শিশুসাহিত্য রচনা করেছেন কেউ বড়দের সাহিত্য রচনা করেছেন। যে যা-ই রচনা করুক না কেন বাংলা সাহিত্যে তাদের অবদান কিন্তু চিরদিনের জন্য প্রিন্টেড হয়ে থাকল। তবে এখানেই তাদের থেমে গেলে চলবে না। তাদের আরো অনেক রচনা করতে হবে। আশা করি তারা একবার সাহিত্য পুরস্কার পেয়ে থেমে যাবেন না। একজন লেখককে বারবার পুরস্কার পেতে দেখলে মনে হয় সত্যিকার অর্থেই তিনি শিশুসাহিত্য বা বড়দের সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে পারেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যের সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনসহ যারা পুরস্কার পেয়েছেন সবাইকে আমি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। এই পুরস্কারটার আগে নাম ছিল সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার। যেটা আমরা পেয়েছিলাম। এটার পরিসর বৃদ্ধি পাওয়ায় আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাই। বিশেষ করে চ্যানেল আই ও সাগর ভাইকে অভিনন্দন জানাই। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের যতগুলো চ্যানেল আছে তার মধ্যে চ্যানেল আই হচ্ছে সবচাইতে অগ্রগামী চ্যানেল।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সাহিত্যিকদের এই রকম ঘরোয়া আড্ডা অনেক দিন হয় না। চ্যানেল আইয়ে যে আজকে এই ঘরোয়া আড্ডার অনুষ্ঠান হয়েছে সে জন্য আমি প্রথমেই আমাদের অভিভাবক ফরিদুর রেজা সাগরের প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। এই পুরস্কার আমাদের জন্য অনেক গর্বের জায়গা। আমরা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের ভালোবাসার জায়গাকে আরো উদ্ভাসিত করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন ও পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসান শায়ক।

সংবাদচিত্র ডটকম/শিল্প ও সাহিত্য

সংশ্লিষ্ট সংবাদ