শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

আজ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু বার্ষিকী

জনপ্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। -- চিত্রজগত.কম

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

২৩ অক্টোবর ২০১২ তারিখে হৃদযন্ত্রজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জন্ম বর্তমান বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার কালকিনির মাইজপাড়া গ্রামে ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ৭ সেপ্টেম্বর।

১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। তার বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। পড়াশোনা শেষ করে কিছুদিন একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। পরে সাংবাদিকতায় চলে আসেন। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি কৃত্তিবাস নামে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন।

লেখকজীবনে নীললোহিত, সনাতন পাঠক ও নীল উপাধ্যায় ইত্যাদি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। গতানুগতিকতার বাইরে লেখালেখির কারণে সাহিত্যে স্থায়ী আসন লাভ করেছেন। সুনীল কবিতাবিষয়ক পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস’ সম্পাদনা শুরু করেন ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে।

সাহিত্যের জন্য ১৯৭২ ও ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে আনন্দ পুরস্কার আর ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তার গল্প, উপন্যাস নিয়ে এমন কিছু চলচ্চিত্র হয়েছে যেসব দর্শকমনে নাড়া দেবে চিরকাল। এর মধ্যে সত্যজিৎ রায়ের ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’,‘মনের মানুষ’ অন্যতম। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নীললোহিত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম। নীললোহিতের মাধ্যমে সুনীল নিজের একটি পৃথক সত্ত্বা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। নীললোহিতের সব কাহিনীতেই নীললোহিতই কেন্দ্রীয় চরিত্র। সে নিজেই কাহিনীটি বলে চলে আত্মকথার ভঙ্গিতে। সব কাহিনীতেই নীললোহিতের বয়স সাতাশ। সাতাশের বেশি তার বয়েস বাড়ে না। বিভিন্ন কাহিনীতে দেখা যায় নীললোহিত চিরবেকার। চাকরিতে ঢুকলেও সে বেশিদিন টেঁকে না। তার বাড়িতে মা, দাদা, বৌদি রয়েছেন। নীললোহিতের বহু কাহিনীতেই দিকশূন্যপুর বলে একটি জায়গার কথা শোনা যায়। যেখানে বহু শিক্ষিত সফল কিন্তু জীবন সম্পর্কে নিস্পৃহ মানুষ একাকী জীবন যাপন করেন। আজ তাঁর ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী।বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা তাঁর জন্যে।

২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে ৪ এপ্রিল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতার ‘গণদর্পণ’কে সস্ত্রীক মরণোত্তর দেহ দান করে যান। কিন্তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একমাত্র পুত্রসন্তান সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ইচ্ছেতে তাঁর দেহ দাহ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্যবস্থাপনায় ২৫ অক্টোবর ২০১২ তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।

পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ শুধু নয়, বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে একাধারে ঔপন্যাসিক, কবি, গল্পকার, কৃত্তিবাসের সম্পাদক, সাংবাদিক, ভ্রমণ সাহিত্যিক এবং কলাম-লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ভক্ত-পাঠক।

চিত্রজগত ডটকম/স্মরণীয় বরণীয়

সংশ্লিষ্ট সংবাদ