রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

তথ্যমন্ত্রীর কাছে ফিল্ম এলায়েন্সের ৬ দফা দাবি

সংগৃহীত ছবি -- চিত্রজগত.কম

শিল্পাঙ্গনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিল্ম এলায়েন্স অব বাংলাদেশ। সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে সংস্থাটি। স্মারকলিপিতে বলা হয়, নানা আইনে মামলায় সংস্কৃতি অঙ্গনকে তীব্রভাবে আক্রান্ত করেছে।

৬ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপিতে হাওয়া সিনেমার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং শনিবার বিকেল সিনেমার মুক্তি দাবি করেছে ফিল্ম এলায়েন্স অব বাংলাদেশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, সাংকৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, অভিনেত্রী আফসানা মিমি, চঞ্চল চৌধুরী, তারিক আনাম খান প্রমুখ।

চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম বলেন, চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি স্বচ্ছ হওয়ার পাশাপাশি তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে। দেশের কৃষ্টিকালচার ও গল্পনির্ভর সিনেমার অনুদান দেয়া প্রয়োজন। শিশুতোষ ও স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে অনুদান বাড়াতে হবে।

অন্যদিকে বাণিজ্যিক সিনেমার ক্ষেত্রে অনুদান না দিয়ে বাণিজ্যিক সিনেমার ক্ষেত্রে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

অনুদান নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সিনেমা শিল্প নানা সংকটের মধ্য দিয়ে এখন ভালোর দিকে যাচ্ছে। আমরা বাণিজ্যিক ছবিতে অনুদান দিয়েছি কারণ সিনেমা বানিয়ে আসলে পয়সা উঠতো না, এখন উঠবে। এখন আবার দর্শক ফিরে আসছে, সিনেমা হল বাড়ছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে। একইসঙ্গে আর্টফিল্মে অনুদান দেয়া প্রয়োজন। আর্টফিল্ম ব্যবসা করতে পারে না কিন্তু আর্টফিল্মের প্রয়োজন আছে।

বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি সিনেমা আবার দর্শকদের হলে ফিরিয়ে এনেছে। সেই সিনেমাগুলোর একটি ‘হাওয়া’। এর পরিচালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। আমি বিদেশে ছিলাম, জানার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলি, সেই মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যে কর্মকর্তা মামলা করেছে তাকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছে। আইনের যদি ব্যত্যয় হয়ে থাকে তাহলে পরিচালককে নোটিশ করতে পারতো। সরাসরি কোর্টে গিয়ে মামলা করা সমীচীন হয়নি বলে আমি মনে করি।

‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় হলি আর্টিজানে যে হামলা হয়েছিল সেই ঘটনার ওপর ভিত্তি করে এ সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে দুজন পুলিশ অফিসার মারা গেছেন এবং আমাদের পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে জঙ্গিদের দমন করেছিল। সেন্সর বোর্ডের অভিমত, সেই বিষয়গুলো সিনেমাটিতে আসেনি। সেজন্য এই দৃশ্যগুলো সংযোজন করতে বলা হয়েছে। সেটি তারা কিছুটা করেছে বলে আমাকে জানিয়েছে কিন্তু সেটিও যথেষ্ট নয়। তারা আপিল করেছিল। আপিল কর্তৃপক্ষ সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজককে জানিয়ে দেবে কী কী সংযোজন করা প্রয়োজন। সেগুলো সংযোজন হলে আমি মনে করি এই সিনেমা রিলিজ করার ক্ষেত্রে যে সমস্যা আছে সেটি কেটে যাবে।

সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে সরকারের হাজার কোটি টাকা ঋণ তহবিলের কথা পুনর্ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র ইতোমধ্যেই বিশ্ব অঙ্গনে কিছুটা জায়গা করে নিয়েছে। আমাদের অনেক ছবি এখন আমেরিকা, ইউরোপে চলে।

চিত্রজগত/সিনেমা

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়