রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

বাংলাদেশের বহুমুখী প্রতিভাধর খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার ও ঔপন্যাসিক

জহির রায়হান এর ৫১তম অন্তর্ধান দিবস আজ

খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার ও ঔপন্যাসিক জহির রায়হান। -- চিত্রজগত.কম

বাংলাদেশের বহুমুখী প্রতিভাধর খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার ও ঔপন্যাসিক জহির রায়হান। একাধারে তিনি ছিলেন একজন সফল সাংবাদিক, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। আজ তার ৫১তম অন্তর্ধান (নিখোঁজ) দিবস। আজ থেকে ৫১ বছর আগে ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মাত্র ৩৬ বছর বয়সে শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মৃতদেহ মিরপুরের বধ্যভূমিতে খুঁজতে গিয়ে আর ঘরে ফেরা হয়নি তার।

চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক জহির রায়হান নিখোঁজ হয়েছিলেন ঢাকার মিরপুরে। পরবর্তীতে উদ্ঘাটিত হয়েছে জহির রায়হান অন্তর্ধান রহস্যের। কিন্তু তাঁর প্রাণপ্রিয় স্বাধীন স্বদেশেই প্রাণ দিতে হয়েছিল প্রবাদপ্রতিম এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও লেখককে।মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কিছুকাল আগেই তিনি নির্মাণ করেন ‘জীবন থেকে নেওয়া’ চলচ্চিত্রটি। এটি মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’ নির্মাণ করে সেসসময় বেশ সাড়া ফেলেছিলেন তিনি।

এছাড়া ১৯৬২ সালে কলিম শরাফীর সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালনা করেছিলেন ‘সোনার কাজল’ ছবিটি। সেই সময়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলিষ্ঠ হাতে। ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে যেমন স্মরণীয়।তেমনি তার নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্রগুলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অমূল্য দলিল স্বরূপ বিবেচনা করা হয়।

জহির রায়হান ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট বর্তমান ফেনী জেলার অন্তর্গত মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বিখ্যাত আমতলার বৈঠক, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

তিনি তার ক্যামেরায় পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকার, আলবদর, আল-শামসের নৃশংসতার চিত্র ধারণ করে আনেন, যা দিয়ে পরে প্রামাণ্যচিত্রগুলো তৈরি করেন। ইতিহাসের এ স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব প্রথম জীবন শুরু করেছিলেন সাংবাদিক হিসেবে ১৯৫০ সালে ‘যুগের আলো’ পত্রিকায়। ১৯৫৬ সালে দৈনিক প্রবাহ’র সম্পাদক ছিলেন তিনি।সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য আদমজী সাহিত্য পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব।

তবে চলচ্চিত্র জগতে তার পদার্পণ ঘটে ১৯৫৭ সালে, ‘জাগো হুয়া সাবেরা’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে। তিনি সালাউদ্দীনের ছবি যে নদী মরুপথেতেও সহকারি হিসেবে কাজ করেন। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম তাকে এ দেশ তোমার আমার এ কাজ করার আমন্ত্রণ জানান।

জহির এ ছবির নামসঙ্গীত রচনা করেছিলেন।১৯৬১ সালে ‘কখনো আসেনি’ ছবির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তারপর ১৯৬৪ সালে তিনি পাকিস্তানের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র ‘সঙ্গম’ নির্মাণ করেন। পরের বছরই তার প্রথম সিনেমাস্কোপ চলচ্চিত্র ‘বাহানা’ মুক্তি দেন।

চিত্রজগত ডটকম/স্মরণীয় বরণীয়

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়