শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

সংসদে শিল্পী পেশার স্বীকৃতি চাইলেন সুবর্ণা মুস্তাফা

একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে দাঁড়িয়ে শিল্পীর পেশাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফা। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সংসদে নির্ধারিত সময়ের বক্তব্যে চলচ্চিত্র, সংগীত, টিভি নাটক ও মঞ্চনাটকের শিল্পীদের সামাজিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কথা বলেন তিনি।

অধিবেশনে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‌‘ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ—সব আন্দোলনেই শিল্পীরা ছিলেন সামনের সারিতে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, চরমপত্র প্রকাশ, ট্রাকে চড়ে ক্যাম্প থেকে ক্যাম্পে শিল্পীরা ছুটে গিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করতে। শরণার্থী শিবিরে নিয়েছেন সেবকের ভূমিকা। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে দিনের পর দিন রাজপথে কেটেছে এইসব শিল্পীদের। গত জাতীয় নির্বাচনে আমাদের শিল্পী সমাজের ভূমিকা প্রশংসারও ঊর্ধ্বে। এত গৌরবগাঁথার মধ্যে একটি বিষাদের ছায়া থেকেই যাচ্ছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, শিল্পী আমাদের দেশে এখনো কোনো স্বীকৃত পেশা নয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনি আমাদের শিল্পীদের সহায়। বারবার আমরা আপনার কাছেই ফিরে আসি। আপনার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মঞ্চনাটককে করমুক্ত করে দিয়েছিলেন। আপনার ভাই শহীদ শেখ কামাল মঞ্চে অভিনয় করতেন, সেতার বাজাতেন, ছবি আঁকতেন। আমি সেই সৌভাগ্যবানদের একজন, যে মঞ্চে অভিনয়রত অবস্থায় আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) মহিলা সমিতিতে দর্শকসারিতে পেয়েছিলাম। তাই আপনার কাছেই বলতে চাই, আপনি এই শিল্পী সমাজকে তাদের এই দীর্ঘদিনের বঞ্চনার হাত থেকে রক্ষা করুন। শিল্পীর পেশাকে স্বীকৃতি দিন।’

সমাজে শিল্পীদের প্রতিবন্ধকতার একটি বিষদ বর্ণনা দিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘একজন সাধারণ কর্মচারী মাসিক বেতনের খতিয়ান দেখিয়ে ব্যাংক লোন নিতে পারেন। কিন্তু একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী, যিনি ওই চাকরিজীবীর চেয়ে অবশ্যই বেশি আয় করেন, নিয়মিত আয়কর দেন, কিন্তু সমস্ত কাগজপত্র দেওয়ার পরও সামান্য একটি হোমলোন পান না। আমি ব্যাংককে দোষারোপ করছি না। তারা তাদের নিয়মের মধ্যেই থাকবেন। শুধু ভরসা করতে পারছেন না, একজন শিল্পী মাসে মাসে লোনের কিস্তি শোধ করতে পারবে। কারণ শিল্পী কোনো স্বীকৃত পেশা নয়।’

চিত্রজগত/বিনোদন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়