মঙ্গলবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

মায়ের হাতের সেমাইয়ে ঈদ শুরু জয়ার

জয়া আহসান বললেন, ঈদ মানেই দেয়া-নেয়ার পালা। প্রচুর উপহার যেমন পাই, তেমনই প্রচুর উপহার কিনি। টাকা খরচ করতে করতে আমার ভাঁড়ার শূন্য হয়ে যায়। তবে এই দেয়ার মধ্যেই যত আনন্দ! বোনের রান্নাঘর থেকে ভেসে আসবে সেমাইয়ের পায়েসের গন্ধ। এই গন্ধ আমার জীবনে ঈদের বার্তা নিয়ে আসে। মা এ ভাবেই বাড়িতে জাফরান দিয়ে সেমাইয়ের পায়েস রান্না করে।

আমাদের বাড়িতে মঙ্গলবার সকাল থেকে মানুষের আসা যাওয়া শুরু হয়। প্রত্যেক বারের মতো মা সব ঝামেলা সামলায়। মোরগ পোলাও, খাসির মাংস, কত রকমের মিষ্টি… আরও অনেক কিছু রান্না হয়।

তিনি বলেন, সাত দিন ধরে চলবে উৎসব। দাওয়াত। সাজ আর খুশির হাওয়া। এই ঈদে ছোটরা বড়দের সালাম করবেই। আর বড়রা ছোটদের হাতে ঈদি’ হিসেবে নতুন টাকার নোট দেবেন। এটা দিতেই হয়। ছোটবেলায় আমরা বাড়ির বড়দের সালাম করতে ছুটতাম। টাকা পাব, এই আনন্দে। এখন আমাকে টাকা দিতে হয়। ব্যাঙ্ক থেকে পঞ্চাশ টাকা, একশো টাকা, পাঁচশো টাকার কড়কড়ে নোট তুলে রেখে দিতে হবে সঙ্গে। কে কখন সালাম করবে, বলা তো যায় না। এখন তো দেখি ছেলেমেয়েরা সব কুড়ি-তিরিশ হাজার টাকা করে পায়। আমাদের ছোটবেলায় আমরাও পাঁচ-ছ’হাজার টাকা পেতাম। তাতেই কী মজা হত।

এই ঈদ শুধু নিজেদের উৎসব নয়। চারপাশে যে সব মানুষ আমাদের মতো করে ঈদ উদযাপন করতে পারছেন না, তাদের অর্থ বা সম্পত্তির একটি ছোট অংশ ভাগ করে নেয়ার মধ্যেই ঈদের সার্থকতা। একে আমরা জাকাত বলি। এই উৎসবে আমাদের প্রত্যেকের অর্থ বা সম্পত্তির কিছু অংশ ‘জাকাত’ হিসেবে অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতেই হয়। এই রমজান মাস জুড়ে আমি যেমন রাস্তায় আশ্রিত প্রচুর মানুষকে ইফতার করালাম। পোশাক দিলাম। এই দেওয়ার আনন্দই আলাদা।

প্রত্যেক মুসলমান এই ঈদে মসজিদে নমাজ পড়তে যাবে। ইসলামে কিন্তু ধনী আর দরিদ্রকে কোথাও আলাদা করা হয় না। বলা হয়, রাজা আর ফকির এক মসজিদে একসঙ্গে নমাজ পড়ে। এক পাত থেকেই ইফতারের খাবার খায়। ঈদের ‘জামাত’ শেষে কোলাকুলি করে। এটাই আসল ঈদ। নমাজের পরে মসজিদের বাইরে লাইন দিয়ে অনেক মানুষ অপেক্ষা করেন, আর ছেলেরা নতুন পাঞ্জাবি থেকে নতুন টাকা বের করে তাদের দেন। অন্তরের আনন্দকে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেয়াই ঈদের অনুভব। ঈদের শান্তি।

চিত্রজগত/টেলিভিশন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ