নিপুন-জায়েদ রুলের শুনানি হয়নি আজও
চিত্রজগত রিপোর্ট |
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুন আক্তারের দ্বন্দ্বে হাইকোর্টের রুলের শুনানি হয়নি।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চে ভার্চ্যুয়ালি এ শুনানির কথা থাকলেও আদালত না বসায় শুনানি হয়নি।
গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ‘ভোট কেনার’ অভিযোগ তুলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন অভিনেত্রী নিপুন আক্তার। এমনকি এই পদে পুনরায় ভোটের দাবিও তোলেন তিনি। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খানের পদ বা প্রার্থিতা বাতিল হবে কি না- সে বিষয়ে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে এফডিসিতে বসেন শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড। আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
নিপুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খানের পদ বা প্রার্থিতা বাতিল হবে কি না- সে বিষয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে এফডিসিতে বসেন শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড। এরপর আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান নিপুনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। এদিকে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেন জায়েদ খান।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। এর আগে জায়েদ খানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এই বিষয়ে রুল জারি ও আদেশ দেন।
পরে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন নিপুন। ৯ ফেব্রুয়ারি আপিলের শুনানি নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। একই সঙ্গে আদেশে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করে। এই সময়ের মধ্যে জায়েদ-নিপুন কেউ সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না বলে জানানো হয়।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ এবং স্থিতাবস্থা বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির জন্য বলেন।
চিত্রজগত/আইন ও বিচার
