শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ফাইল ফটো -- চিত্রজগত.কম

কিংবদন্তি গীতিকবি, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছরের এই দিনে তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। তিনি স্ত্রী জোহরা গাজী, দুই সন্তান উপল ও দিঠিসহ অনেক আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন।

একজন গীতিকার হিসেবে সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তার লেখা ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটি দিয়ে।

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মেয়ে কণ্ঠশিল্পী দিঠি বলেন, ‘আমার আব্বুকে সবাই ভালোবাসেন, এটা নিজের চোখে দেখতে পেতাম। কত চেনা-অচেনা মানুষও আব্বুর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন। প্রতিটি মুহূর্তেই আব্বুকে মিস করি।’ এদিকে চ্যানেল আইতে আজ সকালে ‘গান দিয়ে শুরু’ অনুষ্ঠানে বাবার লেখা গান পরিবেশন করবেন দিঠি।

জয় বাংলা বাংলার জয়, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’,সহ অসংখ্য কালজয়ী বাংলা গানের গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার।

সুভাষ দত্তের ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ চলচ্চিত্রে ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ গানটি দিয়ে চলচ্চিত্রের গান লেখা শুরু করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।

বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাংলা গানের মধ্যে তিনটি গানের রচয়িতা গুণী এই গীতিকবি। গানগুলো হচ্ছে- ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’ ও ‘একবার যেতে দে না’।

তিনি একজন সফল কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক। তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দেশ চিত্রকথা থেকে ‘শাস্তি’, ‘স্বাধীন’, ‘শর্ত’, ‘সমর’, ‘শ্রদ্ধা’, ‘ক্ষুধা’, ‘স্নেহ’, ‘তপস্যা’, ‘উল্কা’, ‘আম্মা’, ‘পরাধীন’, ‘আর্তনাদ’, ‘পাষাণের প্রেম’, ‘এই যে দুনিয়া’ নামের চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন।

১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। এখন পর্যন্ত তার রচিত গানের সংখ্যা ২০ হাজারেরও বেশি। তার গানে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জীবনবোধ, প্রেম, বিরহ, স্নেহ, অনুভূতির কথা।

গীতিকার হিসেবে ৫ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও ২০০২ সালে একুশে পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, একাধিকবার বাচসাস পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন এই কিংবদন্তী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

চিত্রজগত ডটকম/স্মরণীয় বরণীয়

সংশ্লিষ্ট সংবাদ