শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ববিতার কথা বলা ময়না পাখিটি মারা গেছে

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি ববিতা। গুলশান-২-এর লেকের ধারে একটি ভবনের ১১ ও ১২ তলায় তার ফ্ল্যাট। বসার ঘরে ঢুকেই ডান দিকে ছোট্ট বারান্দা। সেখানে একটি খাঁচায় থাকে ময়না পাখি। বাড়িতে কোনো অতিথি এলেই সশব্দে ববিতার মতোই হেসে ওঠে পাখিটি! এই অভিনেত্রীর ছেলে অনিকের কথা জিজ্ঞাসা করলেই ময়না জবাব দেয়, ‘অনিক তো নেই।’ প্রায় ৮-৯ বছর ধরে ময়না পাখিটিকে লালন-পালন করছেন ববিতা। তার সেই কথা বলা পাখিটি কয়েক দিন আগেই মারা গেছে।

বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থান করছেন ববিতা। কয়েক মাস আগেই কানাডায় একমাত্র ছেলে অনিকের কাছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই দুই সপ্তাহ আগে মার্কিন মুল্লুকে গিয়েছেন তিনি।

আমেরিকা থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ময়না পাখির মৃত্যুর খবরটি জানান ববিতা। তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে যখন ময়নার মৃত্যুর খবরটি শুনেছি, তখন খুব কষ্ট পেয়েছি। খুব কান্না পেয়েছিল আমার। ময়না তো আমার পরিবারেরই একজন সদস্য ছিল। তার সঙ্গে আমার অনেক সময় কাটত। আমার মতো করে হাসত, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠলেই আমাকে দেখেই বলত, অনিক কই? আমাকে পপি আপা বলে ডাকত, সবাই চলে যাওয়ার সময় বলত, খোদা হাফেজ। এসব মনে করে ভীষণ কান্না পেয়েছিল আমার।’

আক্ষেপের সুরে ববিতা জানান, ‘ময়না পাখি তো আরও অনেক বেশিদিন বাঁচে। হয়তো আমি ঢাকায় থাকলে তার সুচিকিৎসা করাতে পারতাম। কিন্তু তা আর হলো না।’

গ্রামের বাঁশঝাড়, পাখি, চারপাশের সবুজ খেত মুগ্ধ করত এই অভিনেত্রীকে। শৈশব থেকেই গ্রামীণ কৃষির প্রতি প্রবল আগ্রহ খ্যাতিমান অভিনেত্রী ববিতার। সেই ইচ্ছা থেকেই তিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় গড়ে তোলেন ফুল, ফল আর সবজির বাগান। সেগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করা তার দিনের প্রধান কাজগুলোর একটি।

প্রসঙ্গত, আমেরিকায় দুই ভাই স্বপন ও লিটনের সঙ্গে দারুণ সময় কাটছে ববিতার। দু’জনই এই অভিনেত্রীর ছোট। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ায় শহীদুল ইসলাম চার্চিল নামে যে ভাই থাকেন তিনি ববিতার চেয়ে তিন বছরের বড়। তিন ভাই তিন বোনই বেঁচে আছেন, এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন ববিতা। তবে সহসাই দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই খ্যাতিমান এই অভিনেত্রীর।

চিত্রজগত/ভিন্ন খবর

সংশ্লিষ্ট সংবাদ