দেশের প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী বশির আহমেদের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী আজ
একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশের প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী বশির আহমেদের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৯ সালের এই দিনে কলকাতার খিদিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর বাবার নাম নাসির আহমেদ। দিল্লির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান বশির আহমেদ কলকাতায় ওস্তাদ বেলায়েত হোসেনের কাছ থেকে সঙ্গীত শেখার পর মুম্বাইয়ে চলে যান। সেখানে উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খাঁ’র কাছে তালিম নেন। একজন বাঙালী সংগীতশিল্পী।
বাংলাদেশী এই সঙ্গীতশিল্পী পাকিস্তান আমলে আহমেদ রুশদি বলে পরিচিত ছিলেন। তিনি শিল্পী নূর জাহানের সঙ্গে অনেক উর্দূ গান তিনি গেয়েছেন।
১৯৬৪ সালে সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় আসার আগেই উর্দু চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন বশির আহমেদ।
চলচ্চিত্রে ‘যব তোম একেলে হোগে হাম ইয়াদ আয়েঙ্গে’ গানটি পাকিস্তানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল মাধূর্যে ভরা। রাগ সঙ্গীতেও দখল ছিল তাঁর। ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী খাঁর কাছেও তালিম নেন তিনি।
তালাশ চলচ্চিত্রে বিখ্যাত শিল্পী তালাত মাহমুদের সঙ্গে কাজ করেন।
বশির আহমেদের জনপ্রিয় গান-
‘কুচ আপ্নি কাহিয়ে কুচ মেরি সুনিয়ে/ইয়ে শাম ইয়ে তানহায়ে ইউ চুপ তো মাত রাহিয়ে’, ‘আমি রিক্সাওয়ালা মাতওয়ালা’, ‘আমাকে পোড়াতে যদি এত লাগে ভাল’, ‘আমার খাতার প্রতি পাতায়’, ‘যারে যাবি যদি যা’, ‘অনেক সাধের ময়না আমার’, ‘ডেকোনা আমারে তুমি কাছে ডেকো না’, ‘মানুষের গান আমি শুনিএ যাবো’, ‘অনেক সাধের ময়না আমার…’।
২০১৪ সালের ১৯ এপ্রিল, শনিবার মোহাম্মদপুরে নিজের বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
চিত্রজগত ডটকম/স্মরণীয় বরণীয়