শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

জন্মদিনে ভক্তদের নতুন গান উপহার দিলেন মাধুরী (ভিডিও)

চুয়ান্ন বছর বয়সেও ভক্তদের মাঝে আগের মতই জনপ্রিয়। বলছি জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত-এর কথা। আজ ১৫ মে অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৬৭ সালের আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

জন্মদিনে শুভাকাঙ্খী ও ভক্তদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন মাধুরী। শুভেচ্ছার বদলে শুভেচ্ছা নয়, ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের জন্য রিলিজি করলেন নিজের দ্বিতীয় একক গানের ভিডিও। মাধুরীর স্বামী শ্রীরাম মাধব নেনে টুইটারে গানটির ভিডিও শেয়ার করেছেন।

গানটি যৌথভাবে লিখেছেন মাধুরী দীক্ষিত ও রাজা কুমারি।

সত্তরের অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা মাধুরী ছয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৯০-এর দশক ও ২০০০-এর দশকের শুরুতে ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ছিলেন এবং সাতবার ফোর্বস ভারত-এর ১০০ তারকার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।

অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সৌন্দর্যচর্চা এবং নৃত্যকলায় সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেন। হিন্দি চলচ্চিত্রে অনবদ্য ভূমিকার জন্য তাকে ২০০৮ সালে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

১৯৮৪ সালে নাট্যধর্মী অবোধ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। এরপর কয়েকটি চলচ্চিত্র ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৮৮ সালে মারপিটধর্মী প্রণয়মূলক চলচ্চিত্র তেজাব-এর মাধ্যমে প্রথম বাণিজ্যিক সফলতা লাভ করেন ও দর্শক মহলের সর্বত্র বিপুল সাড়া ফেলেন। ১৯৯০-এর পুরো দশক জুড়ে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের নেতৃত্ব দেওয়া অভিনেত্রী ও শীর্ষস্থানীয় নৃত্যশিল্পী হিসেবে একচ্ছত্র প্রাধান্য ও প্রভাব বিস্তার করেন। এই সময়ে তিনি শীর্ষ আয়কারী প্রণয়মূলক নাট্যধর্মী দিল (১৯৯০), বেটা (১৯৯২), হাম আপকে হ্যাঁয় কৌন..! (১৯৯৪), ও দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। এছাড়া তিনি রাম লক্ষণ (১৯৮৯), ত্রিদেব (১৯৮৯), থানেদার (১৯৯০), কিশেন কানাইয়া (১৯৯০), সাজন (১৯৯১), খলনায়ক (১৯৯৩), ও রাজা (১৯৯৫)-এর মত ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।

দীক্ষিত অপরাধধর্মী পরিন্দা (১৯৮৯), প্রণয়মূলক নাট্যধর্মী প্রেম প্রতিজ্ঞা (১৯৮৯), ও দেবদাস (২০০২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন এবং প্রহার (১৯৯১), আঞ্জাম (১৯৯৪), মৃত্যুদণ্ড (১৯৯৭), পুকার (২০০০) ও লজ্জা (২০০১) চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য সমাদৃত হন। ২০০২ সাল থেকে কয়েক বছর চলচ্চিত্র থেকে বাইরে থাকার পর ২০০৭ সালে তিনি সঙ্গীত-নৃত্যধর্মী আজা নাচলে চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয়ে ফিরে আসেন এবং পরবর্তী দশকে ব্ল্যাক কমেডিধর্মী ডেঢ় ইশ্‌কিয়া (২০১৪), অপরাধ নাট্যধর্মী গুলাব গ্যাং (২০১৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার প্রথম মারাঠি চলচ্চিত্র বাকেট লিস্ট (২০১৮) এবং তার সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র টোটাল ধামাল (২০১৯)।

মাধুরী মানবহিতৈষী কাজের সাথে জড়িত। ২০১৪ সাল থেকে তিনি ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে শিশুদের অধিকার ও শিশুশ্রম বন্ধের জন্য কাজ করছেন। তিনি ভারত সরকারের “বেটি বাঁচাও বেটি পাড়াও” (মেয়েকে বাঁচাও মেয়েকে পড়াও) ক্যাম্পেইনের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োজিত। তিনি একাধিক কনসার্ট সফর ও মঞ্চ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, সনি টিভি’র কাহিঁ না কাহিঁ কোই হ্যায় অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন এবং নৃত্যানুষ্ঠান ঝলক দিখলা জা, সো ইউ থিংক ইউ ক্যান ড্যান্স ও ড্যান্স দিওয়ানে অনুষ্ঠানের বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৯ সালে তিনি শ্রীরাম মাধব নেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের পরিবারে দুই সন্তান রয়েছে।

চিত্রজগত/বলিউড

সংশ্লিষ্ট সংবাদ