ঐতিহাসিক ৭ মার্চে জাতির পিতার ভাষণের চিত্রগ্রাহক
জনপ্রিয় অভিনেতা আবুল খায়ের-এর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
দেশীয় চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের শক্তিমান ও গুণী অভিনেতা। আজ তাঁর বাইশতম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি পরলোক গমন করেন।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, পাকিস্তান সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ভাষণ ক্যামেরায় ধারণ করেছিলেন। সে সময় তিনি সরকারের ফিল্ম ডিভিশন, ডিএফপি কর্মকর্তা। পাশাপাশি নিজ আগ্রহে হয়ে উঠেছিলেন ক্যামেরা বিশেষজ্ঞ। এর সংগে জড়িত ছিলেন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান এনএইচ খন্দকার।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর বক্তৃতার সময় এমএনএ আবুল খায়েরের তত্ত্বাবধানে টেকনিশিয়ান এনএইচ খন্দকার মঞ্চের নিচ থেকে ভাষণটির অডিও ধারণ করেন। আবুল খায়ের মঞ্চের এক পাশ থেকে ক্যামেরা নিয়ে ঐ ভাষণের চিত্রধারণ করেন। ওই সময়ের ক্যামেরাগুলো বেশ বড় আকার হওয়ার কারণে আবুল খায়েরের একার পক্ষে সেটা নাড়াচাড়া করা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। ফলে এক জায়গায় স্থির থেকে তিনি যতটুকু পেরেছেন, ধারণ করেছিলেন। আর এ কারণেই সাতই মার্চের ১০ মিনিটের একটি ভিডিও চিত্র আমরা দেখে থাকি।
দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি ছিলেন বিএফডিসি’র প্রথম এমডি। একবার বিদেশ সফরের সময় জাতির পিতার আগ্রহে তিনি তাঁর সফর সঙ্গী হয়েছিলেন। তবে এই ইতিহাস দিয়ে আবুল খায়েরকে চেনেন খুব কম মানুষ। চেনেন একজন অভিনেতা হিসেবে।
যারা আবুল খায়েরকে শুধুমাত্র অভিনেতা হিসেবেই জানেন, তাদের জন্য হয়তো এ তথ্যটি বেশ চমকপ্রদ। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নাটকের মাধ্যমেই অভিনয় জগতে জনপ্রিয়তা লাভ করেন আবুল খায়ের। তিনি প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ঋতিক কুমার ঘটকের পরিচালিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।
চলচ্চিত্র কংবা টেলিভিশন দুই মাধ্যমেই তিনি ছিলেন সমান জনপ্রিয়। আবুল খায়ের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চার বার। চিত্রজগত পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা এই অমায়িক সজ্জন মানুষটির স্মৃতির প্রতি।
চিত্রজগত ডটকম/স্মরণীয় বরণীয়