মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কিংবদন্তী অভিনেত্রী শবনমের ৭৬তম জন্মদিন আজ

সংগৃহীত ছবি -- চিত্রজগত.কম

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সাড়া জাগানো নায়িকা শবনমের ৭৭তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৬ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন। জন্মদিনে চিত্রজগত-এর পক্ষ থেকে এই জীবন্ত কিংবন্তীকে অফুরান শুভেচ্ছা।

শবনমের পারিবারিক নাম ঝর্ণা বসাক, বাবা ননী বসাক ছিলেন স্কাউট প্রশিক্ষক ও ফুটবল রেফারি। শৈশবেই বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে নাচ শিখেছিলেন তিনি। এক নাচের অনুষ্ঠানে পরিচালক এহতেশাম নাচ দেখে ‘এদেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের নৃত্যের দৃশ্যে সুযোগ দেন। পরে আরও কিছু ছবিতে অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। এহতেশামের ভাই মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৬১ সালে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শবনম। এ ছবির মাধ্যমেই তার পারিবারিক নাম পাল্টে যায়।

‘হারানো দিন’ ভীষণ জনপ্রিয়তা পায়। পরের বছর ঢাকায় নির্মিত উর্দু চলচ্চিত্র ‘চান্দা’র মাধ্যমে সমগ্র পাকিস্তানে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান শবনম। ১৯৬৩ সালের ‘তালাশ’ ওই সময়ের সর্বাপেক্ষা ব্যবসা সফল ছবির মর্যাদা লাভ করে।

ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শবনম পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে চিহ্নিত হন। ১৯৬৮ সাল থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে স্থায়ীভাবে বাস করতে থাকেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেখানেই থেকে যান। পাকিস্তানে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত প্রবল প্রতাপে একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করেছিলেন তিনি। এর পর ঢাকায় চলে আসেন। দেশে ফিরে হাতেগোনা কিছু ছবিতে অভিনয় করেন। সর্বশেষ দেখা যায় কাজী হায়াতের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘আম্মাজান’-এর নাম ভূমিকায়।

ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে শবনম-রহমান জুটি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। আজও এই জুটিকে স্মরণ করা হয়। অন্য দিকে পাকিস্তান মনে রেখেছেন শবনম-নাদিম ও শবনম-ওয়াহিদ মুরাদ জুটিকে। এখনো সে দেশের নানান অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করেন।

শবনম অভিনীত বাংলা চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে আমার সংসার, কারণ, আম্মাজান, কখনো আসেনি, চোর, জোয়ার ভাটা, জুলি, নাচঘর, নাচের পুতুল, রাজা সন্ন্যাসী, হারানো দিন, শর্ত, সন্ধি ও সহধর্মিণী। উর্দু ছবির মধ্যে আছে আখেরি স্টেশন, আসরা, আনমল মোহাব্বত, আনাড়ি, আজ অউর কাল, আয়না, আবশার, আই লাভ ইউ, ইন্তিখাব, এহসাস, কারাবান, কাজল, কাভি আল বিদা না ক্যাহনা, খুবসুরত, চান্দা, চলতে চলতে, জাঞ্জীর, তালাশ, দর্শন, প্রীত না জানে রীত, পয়সে ও মেরে হামসফর। এ ছাড়া পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন।

পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে অসামান্য অবদান রাখায় শবনম সম্মানসূচক পুরস্কার হিসেবে মোট ১২বার নিগার পুরস্কার লাভ করেন। এই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। এ ছাড়া ২০১৯ সালের লাক্স স্টাইল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তাকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সংগীত পরিচালক রবিন ঘোষকে ১৯৬৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিয়ে করেন শবনম। ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মারা যান রবিন। তাদের একমাত্র সন্তান রনি ঘোষ।

চিত্রজগত/ঢালিউড

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়