শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কিংবদন্তী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী আজ

ফাইল ছবি -- চিত্রজগত.কম

চলচ্চিত্র, টেলিভিশনের কিংবদন্তী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের ৮২তম জন্মদিন আজ।

তিনি এদেশের অসম্ভব জনপ্রিয় অভিনেতা এ,টি,এম শামসুজ্জামান। ১৯৪১ সালের আজকের দিনে নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্ম হয়েছিল তাঁর। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড়বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্র নাথ দাস লেনে। তার বাবা নুরুজ্জামান ছিলেন তৎকালীন নামকরা আইনজীবী। মা নুরুন্নেসা বেগম গৃহিণী। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পোগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহীর লোকনাথ হাইস্কুলে। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থাবস্থা থেকে ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এই কিংবদন্তি অভিনেতা মৃত্যুবরণ করেন।

এটিএম শামসুজ্জামান একাধারে লেখক, কাহিনিকার, সংলাপ রচয়িতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক।

ষাটের দশকে লেখালেখি আর চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় জীবন শুরু করেন তিনি। প্রয়াত অভিনয় কুমার দাস’সহ অনেক গুণী সাংবাদিকের হাতেখড়ি হয়েছে তাঁরই হাতে। তাঁর সহকারী সাংবাদিক স্মৃতিময় বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় কোলকাতা চলে গেলে তিনি সাংবাদিকতা ছেড়ে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। অভিনয় জীবন প্রথমে ছোট ছোট শট দিতে গিয়ে বড়ো চরিত্র।

“চোখের জলে” এবং “নয়ন মনি” ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরেন। এরপর অভিনেতা হিসেবে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

অভিনয়ের জন্য এটিএম শামসুজ্জামানের প্রথম পুরস্কার ছিল বাচসাস পুরস্কার। পরে ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াতের দায়ী কে সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এরপর ১৯৯৯ সালের ম্যাডাম ফুলি, ২০০১ সালের চুড়িওয়ালা, ২০০৯ সালের মন বসে না পড়ার টেবিলে সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১২ সালের চোরাবালি সিনেমার জন্য পান পার্শ্বচরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার। আর ২০১৭ সালে ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

অভিনয়ে ব্যস্ততা বাড়লেও লেখালেখি চালিয়ে যেতে থাকেন, অসাধারন একজন লেখক এটিএম শামসুজ্জামান। অভিনেতা, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা কোনোটাতেই পিছিয়ে নেই এই গুণধর মানুষ। দেশ স্বাধীনের পর নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ছবি “ওরা ১১ জন” তাঁরই লেখা।

প্রয়াত পরিচালক দীলিপ বিশ্বাস তাঁর প্রায় প্রতিটি ছবির সংলাপ এ টি এম শামসুজ্জামানকে দিয়ে চূড়ান্ত করতেন বলে জানাযায়।
জন্মদিনে গুনি এই মানুষটির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে ক্ষমা করে দেন।

চিত্রজগত ডটকম/স্মরণীয় বরণীয়

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়