স্মরণ: রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী মিতা হকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী মিতা হক দুনিয়া ছেড়ে চলে যান এই দিনে। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল ভোর সোয়া ৬টার দিকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মিতা হক বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। তিনি ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
মিতা হক ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভালে অংশ নেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলা বাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে সঙ্গীত শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন।
এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন মিতা হক। ‘সুরতীর্থ’ নামে একটি গানের স্কুলও রয়েছে তার। একসময় ছায়ানটের রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদের সহসভাপতিও ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদের সহসভাপতি ছিলেন।
মিতা হক অভিনেতা-পরিচালক খালেদ খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খালেদ ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির ফারহিন খান জয়িতা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
শিল্পকলা পদক ছাড়াও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১৭ সালে মিতা হককে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেয়া হয়। একই বছর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘রবি-চ্যানেল আই রবীন্দ্রমেলা’য় রবীন্দ্র সঙ্গীতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মিতা হককে ‘চ্যানেল আই আজীবন সম্মাননা’ দেয়া হয়। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
চিত্রজগত/সঙ্গীত