সরকারি চাকরি ছেড়ে অভিনয়ে রাজত্ব করেছেন যেসব তারকা

মানুষ তার স্বপ্নে বাঁচে। কেউ স্বপ্নে রূপ দিতে পারে আবার কারো জীবনে তার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। যারা সাহস করে এগিয়ে গেছে তাদের কাছে বাস্তবে ধরা দিয়েছে তাদের স্বপ্ন।
বলিউডে অনেক তারকা রয়েছে যারা কর্মজীবনের শুরুতে সরকারি চাকরি করতেন। কিন্তু তাদের অনেকের স্বপ্ন ছিল অভিনয়ে রাজত্ব করার। দেব আনন্দ থেকে অমরীশ পুরী, দিলীপ কুমার থেকে অমল পালেক ও চাকরি ছেড়ে মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন।
শুধু বলিউড পাড়ায় নয়, এই বদল দেখা গেছে দক্ষিণী সিনেমার জগতেও। সকলের প্রিয় ‘থালাইভা’ অভিনয় ক্ষেত্রে আসার আগে সরকারি কর্মচারী ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বড় পর্দায় রজনীকান্তের প্রথম আগমন। তার আগে বেঙ্গালুরু পরিবহন সংস্থার অন্তর্গত সরকারি বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন তিনি।
মোহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে দিলীপ কুমার ভারতের পুণেতে কর্মরত ছিলেন। সেখানকার সেনাশিবিরের ক্যানটিনে কাজ করতেন তিনি। পরে বলিউড অভিনেত্রী দেবিকা রানি তাকে হিন্দি সিনেমাতে অভিনয় করার প্রস্তাব দেন। দিলীপ অভিনীত প্রথম তিনটি সিনেমা তেমন হিট না করলেও ১৯৪৭-এ মুক্তি পাওয়া ‘জুগনু’ সিনেমা বক্স অফিসে তুমুল সাড়া ফেলে। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
এই তালিকায় রয়েছেন বলিউডের চিরসবুজ নায়ক দেব আনন্দ। ১৯৪৬ সালে ‘হম এক হেঁ’ সিনেমাতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু মুম্বাইতে তার আসা কর্মসূত্রেই। লাহৌরে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর মুম্বাইয়ের চার্চগেট এলাকায় সেন্সর বোর্ডের অফিসে কেরানি পদে চাকরি করতেন দেব আনন্দ।
জনপ্রিয় খল অভিনেতা অমরীশ পুরীকে। অভিনয়ে আসার আগে ভারতের এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (ইএসআইসি) নামে একটি সরকারি সংস্থায় কর্মী ছিলেন তিনি।
‘সিআইডি’ হিন্দি ধারাবাহিকের এসিপি প্রদ্যুম্নকে নামে তাকে অধিকাংশ দর্শক চিনলেও তার আসল নাম শিবাজি সতম। একটি সরকারি ব্যাংকে ক্যাশিয়ার পদে কাজ করতেন তিনি। অভিনয় করবেন বলে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে থিয়েটারে যোগ দেন। পরে তাকে বহু হিন্দি ও মারাঠি সিনেমাতে অভিনয় করতে দেখা যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দ বাজার
চিত্রজগত/চলচ্চিত্র