শিমু: পোশাক শ্রমিকদের সংগ্রামী জীবনালেখ্য

রুবাইয়াত হোসেনের ‘শিমু’তে অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহানা গোস্বামী, দীপান্বিতা মার্টিন, শতাব্দী ওয়াদুদ প্রমুখ। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে ও আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে পোশাকশিল্পের যে ভূমিকা আছে তার আলোকে নারী পোশাকশ্রমিকদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প তুলে ধরা হয়েছে ছবিটিতে। ২০১৯ সালে টরন্টোতে প্রথম ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছিল ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ নামে। পরে লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসব, লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবসহ বিদেশে বাণিজ্যিকভাবেও ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরে গার্মেন্টস শিল্প একটি বড় শিল্প। একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর এক গার্মেন্টস কর্মী শিমু। সেই শিমুর গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র ‘শিমু’। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে একটি নতুন সংযোজন ‘শিমু’ চলচ্চিত্র। গল্পে দেখা যায় শিমু—২৩ রাজধানীর একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর কর্মী। নানান প্রতিকুলতার মুখোমুখি হয়ে সহকর্মীদের নিয়ে একটি শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করতে চায়। কতৃর্পক্ষের হুমকি, স্বামীর অসম্মতি উপেক্ষা করেও শিমু অবিচল থাকে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে জীবন সংগ্রামে সে জিতবেই এই আশায় থাকে।
‘শিমু’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে শুভমুক্তি হয়েছে। শিমুর মুক্তিতে মহাখালীর স্টারসিনেপ্লেক্সে গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় এক বড় প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। প্রিমিয়ার শোর আগে ছবিটি পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন ছবিটি নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। রুবাইয়াত হোসেন পরিচালিত শিমু চলচ্চিত্রের গল্প ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন ফিলিপ বেরিয়ার ও রুবাইয়াত হোসেন।
চিত্রগ্রহণে সাবিনা লসলা, ক্যামেরা অপারেটর বরকত হোসেন পলাশ, শিল্প পরিকল্পনা জোনাকী ভট্টচার্য, সম্পাদনা—রাফায়েল মারটিন হোজা ও সুজন মাহমুদ, আবহ সঙ্গীত টিন সোহেলি, ছবিটির নির্বাহী প্রযোজক অং রাখাইন ও আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ, সহ—প্রযোজক—পিটার হিলডান, পেদ্রো বোর্হেস, আদনান ইমতিয়াজ ও রুবাইয়াত হোসেন। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন ফ্রসোয়া দত্তেমা ও আশিক মোস্তফা। খনা টকিজ পরিবেশিত, বিদেশে আমেরিকা, পোল্যান্ড, লন্ডন, কানাডা, মেক্সিকো, চায়না, সিঙ্গাপুর, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক ও জার্মানী পরিবেশনার দায়িত্ব পালন করেনে।
অভিনয়ে: রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহানা গোস্বামী, নভেরা রহমান, মোস্তফা মনোয়ার, শতাব্দী ওয়াদুদ, দিপান্বিতা মার্টিন, পারভিন পারু মায়াবি, মিতা রহমান ও সামিনা লূৎফা। শিমু চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্র শিমু এক অনবদ্য অভিনয় করেছেন।
ছবিটি ঢাকায় দেখা যাবে স্টার সিনেপ্লেক্সের ৪ শাখায় ও ব্লকবাস্টার সিনেমাসে। ঢাকার বাইরে সিলভার স্ক্রিন (চট্টগ্রাম) ও চন্দ্রিমা (শ্রীপুর, সাভার)।
শিমু ছবিটি টরেন্টো ইন্টার ফিল্ম ফেস্টিভেলে মনোনিত হয়েছে। তাছাড়া অনেক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। শিমু চলচ্চিত্রটির সাফল্য কামনা করছি। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু
চিত্রজগত/ঢালিউড