বৃহস্পতিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার নায়ক অভি

গাজীপুরের ভাওয়াল মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করলো র‌্যাব

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক অভিকে প্রায় ৯ মাস আটকে রেখে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুরের একটি মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে তাকে আটকে রাখেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়।

র‌্যাব মঙ্গলবার (০৪ জানুয়ারি) গাজীপুরের নগরীর ভাওয়াল মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে অভিসহ ২০ জনকে উদ্ধার করে। আটক করে মালিক ফিরোজা নাজনীন বাঁধনসহ পাঁচজনকে।

৯ মাস বন্দি থাকার পর উদ্ধার হয়ে রিহ্যাব সেন্টারের নারকীয় ঘটনার বর্ণনা দিলেন অভি। তিনি বলেন, ‘করোনার সময়ে কাজ না থাকার কারণে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। আমার কোম্পানি ঠিকঠাক ভাবে চলছে না বরং বন্ধ হওয়ার পথে। কর্মচারীদের বেতন দিতে ঋণ নিতে হয়। একটা সময় কাজ একেবারে বন্ধ হওয়ার পথে বসে। তখন রাতে ঘুম না হওয়ায় একটা সময় আমি ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করি। তারপর পরিবার আমাকে সন্দেহের বশে রিহ্যাবে ভর্তি করে। ডোপ টেস্ট করে সামান্য কিছু ঘুমের ওষুধের রক্তে মিশ্রণ পায়।’

রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি হওয়ার ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্ষুধার্ত রাখা হতো। গরম ভাত হলে হাত দিয়ে ধরে গিলে খেয়ে ফেলতাম, যেন কেউ না দেখতে পায়। মনে হতো গলা দিয়ে আগুন নামছে। কতটা ক্ষুধার্ত থাকলে মানুষ এমনটা করে? রিহ্যাবে থাকা অবস্থায় আমার একজনের সাথে পরিচয় হয়। তার মোবাইল ফোন দিয়ে ভোর ৫টার দিকে আমি কিচেনে মোবাইল নিয়ে গিয়ে আমার বন্ধু অভিনেতা জয় চৌধুরীকে ফোন দেই। তাকে আমি বলি আমার প্রাণ বাঁচাতে। সে বুঝতে পারে। জায়েদ খানের সঙ্গে কথা বলে। এরপর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি র‍্যাবে অভিযোগ জানায়। এরই প্রেক্ষিতে ওখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে।’

এই অভিনেতা আরও বলেন, সেখানে খাওয়ার কষ্ট হতো বেশ। ২০ জনের জন্য ছোট কৌটায় ভরে চাল নিয়ে রান্না করা হতো। যে সামান্য খাবার দেয়া হতো তাতে কারো পেট ভরতো না। ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকতো সকলে। এতোটাই ক্ষুধার্ত রাখা হতো যে কল্পনা করা সম্ভব না। সেখানে ফেলে দেয়া খাবারও খায়ানো হতো।

অভি তার ঘটনা নিয়ে বর্ণনা দিতে গিয়ে পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসার নামে শারীরিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। এখানে চিকিৎসার নামে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হতো বলে অভি জানান। এছাড়া ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণদের অ্যাবিউজ করতেন মালিক বাঁধন। সূত্র: সময় সংবাদ

চিত্রজগত/অপরাধ

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়