বৃহস্পতিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

বাপ্পা মজুমদারের জন্মদিন আজ

বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার বাপ্পা মজুমদার। ১৯৭২ সালের এই দিনে (৫ ফেব্রুয়ারি) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বিশেষ দিনে অসংখ্য অনুরাগীর শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন বাপ্পা।

এদিকে জন্মদিনে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন বাপ্পা। তিনি জানান, ‘সংগীত নিয়ে তার অনেক ভাবনা আছে, ভবিষ্যতে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চান। সামনে অনেক বেশি ফিল্ম ওরিয়েন্টেড কাজ করার ইচ্ছা তার। ফিল্মের স্কোরিং করতে চান। তার ভীষণ ইচ্ছা, একটি গানের স্কুল করার।’

সংগীতযুগল ওস্তাদ বারীণ মজুমদার ও ইলা মজুমদারের ছেলে বাপ্পা। তার পারিবারিক নাম শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা। বাবা ওস্তাদ বারীণ মজুমদার ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত সংগীতবিশারদ। সংগীত পরিবারে জন্ম নেয়া বাপ্পা মজুমদারের ছোটবেলাতেই সংগীতে হাতেখড়ি। আর বড় ভাই পার্থ মজুমদারের কাছে খুব ছোটবেলায় গিটার বাজানো শিখেছেন। ১৯৯৫ সালে প্রথম একক অ্যালবাম ‘তখন ভোর বেলা’ দিয়ে সংগীতজগতে আত্মপ্রকাশ করেন বাপ্পা। তিনি মূলত বাংলা রোমান্টিক গানের জন্য পরিচিত। তার ব্যান্ড ‘দলছুট’। বাপ্পা ও সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরী মিলে গড়ে তোলেন এই দল। সঞ্জীবের মৃত্যুর পর নিজেই দলছুটের হাল ধরেন। বাপ্পা মজুমদার ব্যান্ড ও নিজের জন্য গান লেখার পাশাপাশি অন্য শিল্পীদের জন্যও গান লিখেছেন।

বাপ্পার কণ্ঠ ও সুরের জাদু মোহিত করে সংগীতপ্রিয় শ্রোতাকে। তার একক অ্যালবাম ‘সূর্যস্নানে চল’ ২০০৮ সালে প্রকাশ হয়। এছাড়া তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘পরী’, ‘দিন বাড়ি যায়’, ‘সূর্যস্নান’, ‘বায়েস্কোপ’, ‘রাতের ট্রেন’, ‘বাজি’, ‘লাভ-ক্ষতি’, ‘আমার চোখে জল’, ‘ছিল গান ছিল প্রাণ’, ‘কোথাও কেউ নেই’ ইত্যাদি।

২০১৮ মুক্তি পাওয়া ‘সত্তা’ সিনেমার ‘না জানি কোন অপরাধে’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। একই বছর ২৩ জুন অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা তানিয়া হোসেনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বাপ্পা।২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর দু’জনের সংসার আলো করে জন্ম নেয় একমাত্র কন্যা সন্তান অগ্নিমিত্রা মজুমদার পিয়েতা।

চিত্রজগত/সঙ্গীত

সংশ্লিষ্ট সংবাদ