বৃহস্পতিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

পটুয়া কামরুল হাসানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন’র পরেই বাংলাদেশের চিত্রকলায় যার নামটি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় উচ্চারিত হয় তিনি কামরুল হাসান। যাকে শিল্প ও সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা ‘পটুয়া’ হিসেবেই জানেন। বরেণ্য এ চিত্রশিল্পী পটুয়া কামরুল হাসানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

১৯৮৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জাতীয় কবিতা উৎসবের মঞ্চে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বরেণ্য এ শিল্পী।

১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর কলকাতার শহরতলিতে তার জন্ম। ছোটবেলা থেকেই সফল সংগঠক হিসেবে নিজের প্রতিভার পরিচয় দেন তিনি। কামরুল হাসান কোলকাতা মডেল এম ই স্কুল, কোলকাতা মাদরাসা এবং কলকাতা ইন্সটিটিউট অফ আর্টসে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৫ সালে একটি ভৌত অনুশীলন প্রতিযোগিতায় বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি পূর্ব বাংলাদেশে চলে আসেন।

১৯৪৮ সালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে ঢাকা আর্টস কলেজে যোগদেন এবং ১৯৬০ সাল পর্যন্ত সেখানে শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প সংস্থার নকশা কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার আঁকা পাকিস্তানি সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খানের দানবমূর্তি-সংবলিত পোস্টার ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। দেশের জাতীয় প্রতীকসহ বাংলাদেশ ব্যাংক, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট, পর্যটন করপোরেশন এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মনোগ্রাম অঙ্কন করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।

কামরুল হাসান দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলেও অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের তথ্যকেন্দ্রের প্রধান শিল্পী এবং শিশু সংগঠন মুকুল ফৌজ ও বিসিক নকশাকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায়ও তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রচার বিভাগের শিল্পকলা শাখার প্রধান ছিলেন। পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার সহ আরও অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা। ১৯৮৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, চিত্রকলার এই মহান মানুষটি প্রয়াত হন। শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা পটুয়া কামরুল হাসানের প্রতি।

চিত্রজগত/স্মরণীয় বরণীয়

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়