শুক্রবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

তসলিমা নাসরিনের দৃষ্টিতে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’

প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে সব মহলে প্রশংসা পাচ্ছে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ-এর রেহানা মরিয়ম নূর। প্রশংসায় ভাসছেন এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা আজমেরী হক বাঁধন। তবে সিনেমাটি প্রবাসে থাকা বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের প্রশংসা পায়নি। বরং সিনেমার নানান দিক নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি।

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তসলিমা নাসরিন সিনেমাটি বিভিন্ন দিক ধরে সমালোচনা করেন।

তিনি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, প্রথম কানে গিয়েছে বাংলাদেশের কোনও ছবি, খুব স্বাভাবিক যে সেই ছবিটি দেখার আগ্রহ খুব হবে আমার। ছবিটি দেখার সৌভাগ্য হলো কাল রাতে। ‘রেহানা মরিয়াম নূর’ ছবিটির প্রধান চরিত্রে আমার মনে হয়নি আছেন কোনও সৎ বা উদার কোনও মানুষ।

প্রথম থেকেই তিনি রগচটা, রুক্ষ, স্বার্থপর, একগুঁয়ে, আত্মকেন্দ্রিক। ধার্মিক রেহানাকে যদি নারীবাদী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হয়ে থাকে, তাহলে ভুল। নারীবাদীদের সংবেদনশীল হতে হয়। যতো না সংবেদনশীল তিনি, তার চেয়ে বেশি প্রতিশোধপরায়ণ। তাঁর জন্য কোনও শ্রদ্ধা বা সহানুভূতি জন্মায় না।

তিনি আরো লেখেন, ছবিটি ডেনিশ ডগমা ফিল্মের মতো হাত-ক্যামেরায় শুট করা। টানা মিড-শট। বারবারই জনমানবহীন হাসপাতালের একই করিডোর, একই ঘোলা ঘর, একই সংলাপ, একই চেহারা, একই এক্সপ্রেশান। কোনও আউটডোর নেই। কোনও আকাশ-বাতাস নেই। শ্বাস নেয়ার জায়গা নেই।

তসলিমা মনে করেন, ছবিটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের না হয়ে কুড়ি পঁচিশ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্যের হলে ভালো হতো। অথবা ছবি না হয়ে কোনও ডার্ক নাটক হলে ভালো হতো। সিনেমার বড় পর্দায় না দেখিয়ে মঞ্চে দেখালে ঠিক হতো।

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া ছবিটি এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস (অ্যাপসা)-এর দ্বিতীয় সেরা ছবি হয়েছে। এতে অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পান আজমেরী হক বাঁধন। এছাড়া হংকং এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছবিটি জিতেছে নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড।

চিত্রজগত/মুক্তমত

সংশ্লিষ্ট সংবাদ