বুধবার, ২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

জাতীয় ফুটবলারদের ৬০ ভাগকেই আনফিট মনে হয় সালাউদ্দিনের

ছবি: চিত্রজগত -- চিত্রজগত.কম

বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল দক্ষিণ এশিয়ার সেরা। অন্য দিকে জামাল ভূইয়ারা সাফের গ্রুপ পর্বই পার হতে পারেন না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের ঘাটতিতে আনফিট হওয়াটাকে বড় কারণ হিসেবে মনে করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাফুফে ভবনে বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে গণমাধ্যমে আলোচিত কিছু বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক মত বিনিময়ের পর জাতীয় দল নিয়ে কথা বলেছেন সংস্থাটির সভাপতি। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তির দৃষ্টিতে, ‘জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে অনেক সময় মনে হয় ৬০ ভাগ খেলোয়াড় ফিট নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য।’ আনফিট খেলোয়াড়দের কোচ কেন ডাকেন এর উত্তরও দিয়েছেন সালাউদ্দিন, ‘কোচের দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক খেলোয়াড়দেরই ডাকে। ঘরোয়া পর্যায়ে যারা ভালো পারফরম্যান্স করেন তারাই জাতীয় দলে ডাক পায়। ঘরোয়া লিগের ফিটনেসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ফিটনেসের তারতম্য রয়েছে।’

ঘরোয়া পর্যায়ে ফিটনেস আন্তর্জাতিক মানের না হওয়ার পেছনে ক্লাব ব্যবস্থাকে দায়ী মনে করেন বাফুফে বস, ‘একেক ক্লাব একেকভাবে খেলোয়াড়দের তৈরি করে। বসুন্ধরা কিংস ভালো করছে। তাদের পেছনে রয়েছে আবাহনী।’ বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন তার খেলোয়াড়ি জীবনে মোহামেডানে এক বছরের বেশি সময় এবং আবাহনীতে এক যুগের বেশি খেলেছেন। জনপ্রিয় দুই ক্লাব এখন বসুন্ধরার সঙ্গে অনেকটা দূরত্বে রয়েছে।

বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগের মান নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে বাফুফে সভাপতি বলেন,‘ আমাদের লিগের মান ভালো তবে সেটা দক্ষিণ এশিয়ার পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মানের নয়’।

বসুন্ধরা কিংস হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন শেষে এখন চতুর্থ শিরোপার দিকে। ঘরোয়া ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের একক আধিপত্যের মধ্যেও বসুন্ধরার মান নিম্নগামী বলে মনে করেন বাফুফে সভাপতি, ‘আমি সম্প্রতি কিংসের সভাপতির (ইমরুল হাসান) সঙ্গে আলোচনা করেছি। তার খেলোয়াড়দের মানও নিচের দিকে। তিনি (ইমরুল) এর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন এবং তার কোচকে (অস্কার) এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।’

জাতীয় দল মার্চ উইন্ডোতে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে। সেই সিরিজ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘ঐ সিরিজে আমি চাই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হোক।’ বাংলাদেশ দলকে ঐ সিরিজে প্রস্তুত করার জন্য সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা চলছে ফেডারেশনের, ‘কাতারে আবাসন নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বিশ্বকাপের পর ব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা ব্যস্ত রয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে কথা চলছে। সৌদিতে সম্ভব হলে একটি অনুশীলন ক্যাম্প হতে পারে।’

বাংলাদেশ মার্চ উইন্ডোতে খেলবে সিশেলস ও ব্রুনাইয়ের মতো প্রায় সমকক্ষ দলের সঙ্গে। এই বিষয়ে সভাপতির মত, ‘আমি সব সময় বড় দলগুলোর সঙ্গেই খেলতে চাই। কিন্তু বড় দলগুলো পাওয়া যায়নি তাই এদের সঙ্গেই খেলতে হচ্ছে।’

চিত্রজগত ডটকম/ফুটবল

সংশ্লিষ্ট সংবাদ