চিত্রনায়ক সোহেল হত্যা মামলাসংক্রান্ত নথি খুঁজে বের করতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার নথি পাওয়া যাচ্ছে না বলে যে অভিযোগ উঠছে, তা খুঁজে বের করতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে গত ২৩ জানুয়ারি একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে ওই হত্যা মামলা নিষ্পত্তিতে অস্বাভাবিক দেরি এবং মামলার নথি খুঁজে না পাওয়ার বিষয়ে তদন্ত ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। গোয়েন্দা পুলিশ ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। এ মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়।
পরে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযোগ গঠনের পর আদনান সিদ্দিকী নামের এক আসামি ২০০৩ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। তখন মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ বিচারাধীন ছিল। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করে ও ইতিপূর্বে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রায় দেন। এ রায়ের নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘ সাত বছরেও নথি বিচারিক আদালতে পৌঁছায়নি। বিচারও শেষ হচ্ছে না—যে কারণে রিটটি করা হয়।’
ওই মামলার নথি খুঁজে না পাওয়ার অভিযোগ যথাযথ অনুসন্ধান করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারী। এই আইনজীবী বলেন, আইনসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চিত্রজগত/আইন ও বিচার