রবিবার, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

কিংবদন্তী সঙ্গীতব্যক্তিত্ব বাপ্পি লাহিড়ির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

গুরুজী’র আত্মার শান্তি চাই : আনিসুজ্জামান আনিস

বাপ্পি লাহিড়ির সঙ্গে ভক্ত আনিসুজ্জামান আনিস। -- চিত্রজগত.কম

কথায় আছে- ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’। আর প্রসঙ্গ যখন প্রয়াত সঙ্গীতজ্ঞ বাপ্পি লাহিড়ি, তখন স্বর্ণযুগই বটে। ক্রমেই সময়ের হাত ধরে বদলেছে সমাজ, বদলেছে মানুষের চিরাচরিত চিন্তা-ভাবনা ও বিশ্বাস। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাল্টেছে শিল্প, জোয়ার এসেছে সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রে। ঠিক তেমনই উপমহাদেশীয় সঙ্গীতে এক স্বর্ণালী যুগ রচনা করেছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। আজ তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত বছরের এই দিনে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। গানের দুনিয়ায় যখন একের পর এক কিংবদন্তি তারকারা জাঁকিয়ে বসছে সিনে দুনিয়ায়, ঠিক তখনই ডিস্কো উপহার নিয়ে ভারতীয় হিন্দি ছবির সঙ্গীতে ঝড় তোলেন বাপ্পি লাহিড়ি।

সঙ্গীত দুনিয়ার কিংবদন্তি এ সঙ্গীত তারকাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশের প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার আনিসুজ্জামান আনিস। আমেরিকার বাফেলো ও নিউইয়র্ক শহরে প্রবাসী বাঙ্গালীদের কাছে যিনি জুনিয়র বাপ্পি লাহিড়ি হিসেবে পরিচিত।

বাপ্পি লাহিড়ির ভাবশিষ্য হিসেবে পরিচিত আনিস বলেন, আমার গুরুজী’র (বাপ্পিদা আমি গুরুজী বলে ডাকতাম) দেখতে দেখতে বছর পূর্ণ হয়ে গেলো! তিনি সবাইকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আমি সব সময়ই গুরুজী’র আত্মার শান্তি কামনা করি।

ফ্যাশন ডিজাইনার আনিস আরও বলেন, বাপ্পিদা ছিলেন আমার খুব পছন্দের একজন। আমার গুরুজী বাপ্পিদা’র সান্যিধ্যে আমার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল অনেক বার। ঢাকা, কলকাতা, মুম্বাই আমেরিকার নিউইয়র্কসহ অনেক জায়গায় অনেকবার গুরুজী’র সঙ্গে আমি দেখা করেছি। বাপ্পিদা’র এতো ভক্ত ছিলাম যে, সবসময় আমি তাকে অনুকরণ করতাম। বিশেষ করে দাদার স্টাইল ছিলো আমার সবচেয়ে প্রিয়। দাদার মতো সানগ্লাস এবং গলায় আমি প্রচুর অর্নামেন্টস পড়ি। তাই আমাকে বাংলাদেশে ও আমেরিকাতে সবাই জুনিয়র বাপ্পি লাহিড়ি বলে ডাকে। বিষয়টি সত্যি আমি খুব উপভোগ করি, এই ডাকটায় আমি আপ্লুত হই। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে যে সবাই আমাকে আমার গুরুজী বাপ্পি লাহিড়ি’র শিষ্য বলে জানে।

আনিস বলেন, বাপ্পিদা ছিলেন বাংলাদেশের বরিশালের সন্তান ও তার শ্বশুর বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। মুম্বাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর হিরো হওয়ার পিছনে পুরো অবদান ছিলো বাঙ্গালী সুরকার শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ি’র। বাঙ্গালী অনেক শিল্পী অনেক হিরো হিরোইন মুম্বাইতে সুপারস্টার হওয়ার পিছনে বাপ্পিদা’র অবদান রয়েছে।

বাংলাদেশে, ইন্ডিয়া ও আমেরিকায় বাপ্পিদা’র সঙ্গে আমার কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিলো। দাদার পরিবারের সাথে আমার চমৎকার সম্পর্ক ছিলো। দাদার প্রয়াণের খবরে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। আমি তাই দোয়া করি- সৃষ্টিকর্তা যেনো দাদাকে স্বর্গবাসী করেন। বাপ্পিদা তুমি যেখানে থাকো অনেক ভালো থেকো। তোমার জন্য অনেক অনেক দোয়া, ভালোবাসা ও বিনম্র শ্রদ্ধা।

চিত্রজগত ডটকম/মুক্তমত

সংশ্লিষ্ট সংবাদ