রবিবার, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম

৬ ফেব্রুয়ারি ছিল ঋত্বিক কুমার ঘটকের প্রয়াণদিবস

কেউ মনে রাখেনি!

ঋত্বিক কুমার ঘটক, যিনি ঋত্বিক ঘটক হিসেবেই সচরাচর অভিহিত। বিংশ শতাব্দীর একজন খ্যাতিমান বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক। আজন্ম বিপ্লবী। তাঁর ক্যামেরা সে বয়ান দিয়েছে। মৃত্যুর আগপর্যন্ত জীবনে এতটুকু ছাড় দেননি। নিজস্ব বিশ্বাস আর আইডিওলজি তুলে এনেছেন তাঁর ছবিতে। ছন্নছাড়া, পাগলাটে নির্মাতা ঋত্বিক কুমার ঘটক মারা যান ১৯৭৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। তাঁর জন্ম ৪ নভেম্বর ১৯২৫, অবিভক্ত ভারতের পূর্ববঙ্গে (বর্তমান বাংলাদেশের) রাজশাহী শহরের মিয়াঁপাড়ায়।

প্রয়ান দিবসটি কেটে গেছে নীরবে নিবৃতে! বিএফডিসিতেতো নয়ই, এদেশের কোনো নির্মাতাও স্মরণ করেনি তাঁকে! বিভিন্ন সভা সেমিনারে চলচ্চিত্র নিয়ে কোনো আলোচনা হলেই নিজের অজান্তে ঋত্বিক কুমার ঘটকের নাম উচ্চারণ করেন কেউ কেউ। অথচ তাঁর প্রয়াণ দিবসে একটা স্টেটাসও চোখে পড়ে নি।

বাংলা চলচ্চিত্রের সেরা চলচ্চিত্রকারের কথা বললে প্রথমেই হয়তো এসে যায় সত্যজিৎ রায়ের নাম। কিন্তু বাংলা চলচ্চিত্রের ত্রিরত্ন কেউই কারও থেকে কম ছিলেন না। তাঁরা তুলনীয় নন। বাংলা চলচ্চিত্রের আকাশে তিন তারা। ঋত্বিক কুমার ঘটক তাঁদের একজন।

ঋত্বিক ঘটক বললেই যে ছবির কথা সবচেয়ে বেশি চোখে ভাসে, সেটি ‘মেঘে ঢাকা তারা’। এই ছবিতে সুপ্রিয়া দেবীর অভিনয় বাংলা চলচ্চিত্রে সব সময়ই উদাহরণ হয়ে থাকবে।

নিমাই ঘোষের ‘ছিন্নমূল’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঋত্বিক ঘটক। এ ছাড়া তাঁর ‘সুবর্ণরেখা’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ও ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’তে অভিনয় করেছিলেন এই পরিচালক।

জীবনে মোট আটটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানিয়েছিলেন ঋত্বিক ঘটক। প্রতিটি ছবিই পেয়েছে প্রশংসা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ